একাত্তরের স্বাধীনতার স্মৃতিচারণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘এই বছর আমাদের স্বাধীনতার ৫০ বছর পুরনের বছর, এই মাসটা স্বাধীনতার মাস। এই মাসে বাংলাদেশের মানুষেরা আমরা নিজেদেরকে মুক্ত করবার জন্যে পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠির হাত থেকে, আমরা যুদ্ধে নেমেছিলাম। সত্যিকার অর্থে যুদ্ধ কিন্তু। কোনো খেলা খেলা যুদ্ধ নয়।”
সেই যুদ্ধে ডাক দি্য়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যার নামে এই প্রতিষ্ঠান। তিনি ওই সময়ে সেনাবাহিনীর মেজর ছিলেন। তারপরে যুদ্ধ ৯মাস হয়েছে, বহু মানুষ মারা গেছে, বহু মানুষের ক্ষতি হয়েছে, প্রায় ১ কোটি মানুষ বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলো। এখানে গণহত্যা হয়েছে। সেনা বাহিনীর লোকেরা বহু প্রথ্যাত শিল্পীকে হত্যা করেছে। এ্খন সময় এসেছে আমাদের যে, এই ৫০ বছরে আমরা কী পেয়েছি আর কি দিয়েছি।”
শিশুদের উন্নয়ন ও বিকাশের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নানা পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে টেলিভিশনে ‘নতুনকুঁড়ি’ অনুষ্ঠান চালুর কথাও তুলে ধরেন বিএনপি।
অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলো নতুনকুড়ি অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে অনেক অনেক শিল্পী নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি। আমি জানি অনেকে রাজনীতি অঙ্গনে গিয়ে মন্ত্রীও হয়েছেন। এটা যখন বন্ধ হয়ে যায় তারপরেই জিয়া শিশু একাডেমী ও শাপলাকুড়ি প্রতিযোগিতা শুরু হয়।”
কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জিয়া শিশু একাডেমীর উদ্যোগে স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ১১ তম জাতীয় শিশু শিল্পী প্রতিযোগিতা ‘শাপলা কুঁড়ি-২০১৯’ এর পুরস্কার বিতরণী এর এই অনুষ্ঠান হয়। প্রধান অতিথি মির্জা ফখরুল নিজ হাতে শিশুদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
এই শিশু প্রতিযোগিতার সারা দেশে ২২ হাজার ক্ষুদে শিল্পীরা বাছাই পর্বে অংশ নিয়ে চূড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণ হয়েছে ৪শ ৭৬ জন।
অনুষ্ঠানে স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে শিক্ষায় অধ্যক্ষ সেলিনা আখতার, স্বাস্থ্য সেবায় অধ্যাপক হাসিনা আফরোজ, সঙ্গীতে এএসএম শফি মন্ডল, শিল্পায়নে আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, প্রবাসী কল্যাণে খান মনিরুল মনি, জনপ্রতিনিধি মনিরুল আলম সেন্টু ও আদর্শ মা মৌসুমি সাহাকে ‘কমলপদক-২০২০’ প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে ক্ষুদে শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।